Former Staffs
র্যাভেনক্ল হাউজের অন্যতম পুরাতন সদস্য কানিজ ফাতিমা নাফিসা। তিনি গ্রুপটিতে সাধারণ সদস্য হিসেবে যোগদান করেন এবং পরবর্তীতে প্রিফেক্ট, হেডগার্ল, হাউজ হেড ও তা থেকে হেডমিস্ট্রেসে পদোন্নতি লাভ করেন। তিনি টুতশিল টর্নেডোসের একজন কিপার ছিলেন এবং কিপার রুলস আপডেট ও কিপার ট্রেনিং নিয়ে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে যান। তিনি ছিলেন টুটশিল টর্নেডোর ভাইস ক্যাপ্টেন। বর্তমানে তিনি প্রাক্তন দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য হলেও গ্রুপকে নানা ভাবে সাহায্য করে আসছেন।
গ্রুপটির সর্বপ্রথম হাফলপাফ এসিস্ট্যান্ট হেড হিসেবে যোগদান করেন ইশমাম আরাফাত আনন্দ। পরবর্তীতে অল্প সময়ের ব্যবধানেই তিনি হাফলপাফ হেড এ পদোন্নতি লাভ করেন। গ্রুপের জন্য তার অবদান অনেক। তিনি কুইডিচের রুলস প্রণয়নে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। পরবর্তীতে তিনি বিটার রেফারি ও ব্লাজার হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেন। গ্রুপটির কুইডিচের অধিকাংশ স্নিচের উত্তর তার তৈরি। নিজ হাউজ দেখার পাশাপাশি তিনি কুইডিচ সম্পর্কিত বিভিন্ন কনফিউশান দূর করতে সাহায্য করেন, পাশাপাশি সাহায্য করেন মিনিস্ট্রি অফ ম্যাজিক দাঁড় করানোয়। গ্রুপের বিভিন্ন পোস্টারে তার এডিট বিশেষভাবে সাহায্য করেছে। পরবর্তীতে তিনি হাফলপাফ ফাউন্ডার, হেডমাস্টার এবং তারপর সাধারণ পরিচালকরূপে নিযুক্ত হোন। তিনি তার দায়িত্ব অন্যান্যদের বুঝিয়ে দিয়ে স্বেচ্ছায় দায়িত্বত্যাগ করেন। বর্তমানে তিনি হাফলপাফের সাধারণ সদস্য হিসেবে রয়েছেন।
গ্রুপের প্রায় শুরু থেকেই গ্রিফিন্ডর হেড হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসেন শ্রেয়াস মজুমদার সাগর। বিভিন্ন ধরণের দায়িত্ব পালন সহ পারস্পারিক সুসম্পর্ক বজায় রাখায় তার জুড়ি ছিলো না। পরবর্তীতে হাউজ সমূহের ফাউন্ডার পদ তৈরি হলে তিনি গ্রিফিন্ডর ফাউন্ডার, ও তার পর গ্রুপটির সাধারণ পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ফ্যালমাউথ ফ্যালকন্সে বিটার হিসেবে যোগদান করেন। গ্রুপটির হাউজ কুইডিচ টিমের লোগোসমূহ তারই তৈরি। ডুয়েল বোর্ডের লোগোটি তিনি দায়িত্ব ত্যাগের পর করে দেন। গ্রুপটির সাথে দীর্ঘ সময় পথচলার পর তিনি দায়িত্ব ত্যাগ করেন।
কথায় আছে গ্রিফিরা না-কি একটু বেশি রগচটা হয়, অল্পতেই রেগে যায়। তবে কথাটা যে ভুলও হতে পারে তার একটি উৎকৃষ্ট প্রমাণ গ্রিফিন্ডরের প্রাক্তন এডভাইজার এবং ওয়াও এর ডাইরেক্টর অংকিতা মোহান্তা। গ্রিফিন্ডরের প্রিফেক্ট হিসেবে যাত্রা শুরু হয়েছিল এই সুন্দরী গ্রিফির। পরবর্তীতে সততা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার জন্য তাকে গ্রিফিন্ডরের এডভাইজার হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। এরপর আবারও তিনি পদোন্নতি লাভ করে হয়ে যান গ্রুপ ডাইরেক্টর। তবে বর্তমানে তিনি দৈনন্দিন জীবনের ব্যস্ততার কারণে অবসরে রয়েছেন।
গ্রুপ তৈরির পর গ্রুপের সর্বপ্রথম গ্রিফিন্ডর এসিস্ট্যান্ট হেড হিসেবে যোগদান করেন ইসরাত সাদিয়া ইরা। গ্রুপের জন্য তার অবদান রয়েছে অনেক। এসিস্ট্যান্ট হেড থাকা কালে তার হাত ধরে সূচনা ঘটে দ্য ডেইলি প্রফেটের। পারিবারিক সমস্যার জন্য তিনি এসিস্ট্যান্ট হেড হিসেবে দীর্ঘদিন থাকতে পারেন নি। তিনি ডেইলি প্রফেটের সম্পাদক হিসেবে কাজ করে যান। পরবর্তীতে ওনার দায়িত্ব ত্যাগে তা মিনিস্ট্রি অফ ম্যাজিকের অধীনে চলে যায়। কুইডিচের রুলস প্রণয়নকারী দলের একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন তিনি। তার হাত ধরে একটি কুইডিচ ক্লাবেরও সূচনা ঘটে, তা হলো: টুতশিল টর্নেডোস। তিনি দীর্ঘসময় এই ক্লাবের ক্যাপ্টেনের দায়িত্ব পালন করে আসেন। এবং এসএসসি পরীক্ষার জন্য তা ত্যাগ করেন। বর্তমানে তিনি বিভিন্ন কার্যক্রমে পয়েন্টিং, কুইডিচ চেজারদের ট্রেনিং সহ বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করে WOW এর সাথেই রয়েছেন।
কৌশিকী হালদার গ্রুপের অন্যতম ক্রিয়েটর। তার হাত ধরেই সূচনা ঘটে WOW গ্রুপটির। দীর্ঘ সময় তিনি গ্রুপটির র্যাভেনক্ল হাউজের হেডের দায়িত্ব পালন করেন। পাশাপাশি ফ্যালমাউথ ফ্যালকন্স কুইডিচ ক্লাবে চেজার হিসেবে খেলেন। গ্রুপের প্রধান সমস্ত শাখা তার হাতেই সৃষ্ট। গ্রুপের অন্যতম সর্বোচ্চ দায়িত্বশীল ব্যক্তি ছিলেন তিনি। পরবর্তীতে তাকে বিশেষ কারণ বশত দায়িত্ব ত্যাগ করতে হয়।
উম্মে হানি হুমা গ্রুপের একজন অন্যতম পুরাতন ঈগল, যিনি শুরু থেকেই WOW এর একজন সক্রিয় সদস্য হিসেবে কাজ করছেন। তিনি সর্বপ্রথম খোলা অন্যতম ক্লাব প্রাইড অফ পোর্ট্রির ফাউন্ডার এবং তার সর্বপ্রথম ক্যাপ্টেন। গ্রুপের কুইডিচ রুলস প্রণয়নেও তার অবদান রয়েছে। তিনি গ্রুপের বিভিন্ন কাজে সাহায্যের পাশাপাশি অপারেটর হিসেবে দীর্ঘ সময় কাজ করেন। এইচএসসি পরীক্ষার জন্য পরবর্তীতে তিনি ভার্চুয়াল জগৎ হতে বিরতি নেন।
গ্রুপের অন্যতম প্রথম কুইডিচ ক্লাব ফ্যালমাউথ ফ্যালকন্সের প্রায় শুরু থেকেই দীর্ঘদিন ক্যাপ্টেন ছিলেন শুভ আকা সাইলাস। স্লিদারিন হাউজের এই সিনিয়র সদস্য সাইলাস ফ্যালমাউথ ফ্যালকন্স অনেক দূর আগিয়ে নিতে সাহায্য করেন। পাশাপাশি কুইডিচ বিটার ট্রেনিং এও তার অবদান অনেক। তিনি কুইডিচ র্যাঙ্কিং এর সেরা বিটার হিসেবে ভূষিত হোন।
সুমাইয়া ইসলাম জারা শুরুতে র্যাভেনক্ল হাউজের এসিস্ট্যান্ট হেড পদে যোগদান করেন। পরে কিছুদিন হেড হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত থাকালেও ব্যাক্তিগত সমস্যার কারণে পর্যাপ্ত সময় দিতে না পারায় পুনরায় এসিস্ট্যান্ট হেড পদে যুক্ত হন। এছাড়াও র্যাভেনক্ল প্রাইড হিসেবে তিনি খ্যাত ছিলেন। এবং তিনি ছিলেন র্যাভেনক্ল কুইডিচ টিমের একজন জনপ্রিয় সিকার। সেই সাথে তিনি কুইডিচ ক্লাব টুথশিল টর্নেডোস এর সীকার ছিলেন।করোনা মহামারী নিয়ন্ত্রণে দীর্ঘদিন চলতে থাকা লকডাউন শিথিল হলে তিনি তার হাউজ হেডের পদ ত্যাগ করে পড়াশোনার উদ্দেশ্যে হোস্টেল জীবনে ফিরে যান।
কৌশিকী হালদার দায়িত্ব ত্যাগের পর র্যাভেনক্ল হাউজ হেডের দায়িত্ব পান তৎকালীন র্যাভেনক্ল এসিস্ট্যান্ট হেড মোহাম্মদ আদিল। র্যাভেনক্ল হাউজের ১ম টার্ম বিজয়ের পিছনে তার অত্যন্ত অবদান রয়েছে। তিনি পাশাপাশি কুইডিচ ক্লাব টুতশিল টর্নেডোসে সিকার হিসেবে যোগদান করেন এবং দ্বিতীয় র্যাঙ্কিং এ সেরা সিকার হিসেবে ভূষিত হন। র্যাভেনক্ল হেড হিসেবে দায়িত্ব ত্যাগের পরবর্তী অনেক কাল পর্যন্ত তিনি টর্নেডোসের সিকার হিসেবে খেলে যান। বর্তমানে তিনি ভার্চুয়াল জগৎ হতে সাময়িক বিরতি নিলেও হাফলপাফ হাউজের সদস্য হিসেবে রয়েছেন।
গ্রিফিন্ডরের একজন সক্রিয় হেড ছিলেন রুদ্র প্রকাশ। তাকে সকলের পছন্দ ও তার সরলতা দেখে তাকে সরাসরি হেড পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিলো। তার কাজের দক্ষতা, আয়ত্তীকরণ ক্ষমতা, ইত্যাদি তাকে সিনিয়র স্টাফদের মাঝে প্রসংশনীয় করে তুলেছিলো। তবে তার সাথে WOW এর পথচলা বেশিদিন স্থায়ী ছিলো না। তিনি দ্রুতই দায়িত্ব ত্যাগ করেন।
গ্রুপের অন্যতম পছন্দের মুখ, স্লিদারিনের হেড গার্ল তাসনীম বাশার। গ্রুপের সাথে তার পথচলা ছিলো কোমল। গ্রুপের ২০০০ সদশ্য পূর্তি উপলক্ষে প্রশ্নাত্তোর পর্বেও তাকে দেখা যায় আনন্দের সাথে অংশ গ্রহণের। গ্রুপের একটি জটিলতার সূত্র ধরে তিনি দায়িত্ব ত্যাগ করেন।